মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
ব্রেইন স্ট্রোক করে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিনিয়র সাংবাদিক খোন্দকার মোহিতুল ইসলাম রন্জুর অবস্থা আশংকাজনক , তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে । সোমবার রাত ৮টা ৪০মিনিটে তার স্ত্রী শাহিদা ইসলাম একথা জানান। তার এই সঙ্কটময় মুহূর্তে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। শাহিদা ইসলাম বলেন, গতকাল (রোববার) মোহিতের অবস্থার উন্নতি হলে আইসিইউ থেকে সাধারণ বেডে দেয়ার ঘন্টাখানের মধ্যে তার গলায় গরগর শব্দ হলে মনে করেছিলাম হয়ত কফ জমে গেছে। তারপর নার্সরা কফ পরিষ্কারে চেষ্টা চালালে তা কিছুক্ষন পর শব্দ বন্ধ হয়ে ঠিক হয়ে যায়। দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসি আমি। পরে সন্ধায় হাসপাতাল থেকে ফোন দিয়ে অবস্থা খারাপের কথা জানায়। হাসপাতালে যাওয়ার পর হার্ট এটাকের কথা বলে। তারপর থেকে অবস্থার আরো অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তিনি আরোও জানান, তিন বার তার স্ট্রোক হয়েছে। এরই মধ্যে আবার হার্ট এটাক। আজকে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ডাক্তার হ্যাপি না বলে জানান, কি হয় কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন। শাহিদা ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ২৯ মার্চ প্রথমে তাকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডা. হাছান শাহরিয়ারের তত্ববধানে করোনাভাইরাস সন্দেহে ২দিন আইসোলেশনে রেখে বাড়িতে চলে যেতে বলে। তখন যদি প্রপার চিকিৎসা করা হতো তাহলে আজকে মোহিতের এই অবস্থা হত না। তখন তার চিকিৎসায় গাফলতি ছিল। গত ১৬ই এপ্রিল বিকাল ৬টার সময় মোহিতুল ইসলাম স্ট্রোক করলে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সমস্ত পরিক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে এইচডিইউতে (HDU) রাখে। পরের দিন সকালে অবস্থার উন্নতি হয়,দুপুরে ওয়ার্ডে রাখে। এরপর ১৮ তারিখে আবার তৃতীয়বারের মত স্ট্রোক করলে অবস্থার অবনতি হয়। সিটি স্ক্যানে ব্রেইনে পানিতে ভরে যাওয়ার কথা জানান ডাক্তাররা। এরপর নিউরো সার্জন ডা. সায়েদ সাঈদ এর তত্বাবধানে দ্রুত মাথায় অপারেশন করে আইসিইউতে রাখার পর অবস্থার কিছু উন্নতি হলে গতকাল রোববার তাকে নিউরো ওয়ার্ডের বেডে দেবার ঘন্টা খানেকের মধ্যে আবার সমস্যা দেখা দেয়। পরে আবার হার্ট এটাক হয় বলে ডাক্তারা জানালে দ্রুত আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বর্তমানে শরীরে প্রোটিনের অভাব, ব্লাডের প্লাজমা দেয়া হচ্ছে। একজন আপাদমস্তক সাংবাদিক খোন্দকার মোহিতুল ইসলাম চাকরি জীবনে ঢাকার অনেক জাতীয় দৈনিকে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে সুনামের সাথে বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। পালন করেছের রাষ্টীয় বার্তা সংস্থা বাসসের বিশেষ দায়িত্বও।এ ছাড়া খোন্দকার মোহিতুল ছিলেন দৈনিক জনতার সম্পাদক। নগরীর নিকুঞ্জ ১ এর আবাসিক এলাকার নিজ বাড়ীতে স্ত্রী,দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার বসবাস ।